পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী ছাত্রী। ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে প্রেমিকের বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।

 

এ ঘটনায় পুলিশ জুয়েল রানা (২৫) নামে এক অভিযুক্তকে আটক করে।

রোববার (১ আগস্ট) ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বর্তমানে ওই কিশোরী বাড়ি রয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে নুরু (২২), দেবীগঞ্জ পৌরসভা নতুন বন্দর এলাকার খোকা মিঞার ছেলে প্রেমিক জুয়েল রানা (২৬), লোহাগাড়া গ্রামের মুন্না (২২) কালীগঞ্জ কলেজপাড়া মৃত ওসমান আলীর ছেলে রিমন (২৩), কালীগঞ্জ বাজারের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে নিশাত (২০)।

পুলিশ জানায়, জুয়েল রানা নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জুয়েল রানা বিবাহিত হলেও ওই কিশোরীর কাছে তা গোপন রাখে। শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মৌমারি এলাকার জুয়েলের বন্ধু নিশাতের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কিশোরীকে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীর প্রেমিক জুয়েল প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মুন্না নামের জুয়েলের বন্ধু ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে মুন্নাও কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ওই খবর মৌমারি এলাকার নুরু, রিমন, নিশাতও জানতে পায়। তারপর পর্যায়ক্রমে কিশোরীকে তারাও ধর্ষণ করে।

স্থানীয়রা জানান, কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে জুয়েল রানা। সেই সুবাদে ওই কিশোরীকে দেবীগঞ্জ উপজেলার মৌমারি এলাকার নিশাত নামে এক যুবকের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। মেয়েটি সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে তার মাকে বিষয়টি জানানোর পর দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ আরটিভি নিউজকে জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপাড়া গ্রামে জুয়েলকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুয়েলের বন্ধু বাকি আসামিরা ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ এই মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

আর টিভি অনলাইন

মন্তব্য করুন