পটুয়াখালীতে সুমন চৌকিদার (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে স্কচটেপ দিয়ে মুখ আটকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন শিক্ষক আহসানইল্লাহ। আহত শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (২১ জুন) বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

২০ জুন বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার হেতালিয়া বাঁধঘাট আকন বাড়ি হাফেজি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীর মামা ইলিয়াস জানান, মাদ্রাসার পাশে শিক্ষক আহসানউল্লাহর একটি দোকান আছে। সম্প্রতি সেই দোকান থেকে দুই হাজার টাকা চুরি যায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক সুমনকে সন্দেহ করে বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে বেত মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে রড দিয়ে পেটান তিনি।

বেদম প্রহারে সুমন অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ফেলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যান আহসানউল্লাহ। তিনি চলে যাওয়ার পর সহপাঠীরা সুমনকে ডেকে সাড়া না পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়।

অভিভাবকরা মাদ্রাসায় এসে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুমনকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষক আহসানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন অভিভাবকরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা রহিম চৌকিদার ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, দেড় বছর আগে ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সুমনের মা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিম মাতুব্বর জানান, সুমনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা একটি মামলা করেছেন। শিক্ষক আহসানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন

1 মন্তব্য

  1. যা চলছে তা যেন এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের চিত্র। আইন এখন সম্পদশালী ক্ষমতাবানদের ওয়ালেটে থাকে, অপরাধের ত্রাতারা সমাজের ভিআইপি মর্যাদা নিয়ে পুরুষ্কৃত, আইন রক্ষাকারীরা ভক্ষকের দায়িত্বে অবতীর্ণ, সাধারন মানুষের নিরাপদে বেঁচে থাকা এদেশের সংবিধান পরিপন্থী কোনো অধ্যাদেশ, শিক্ষা-চিকিৎসা আজ সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাগুরুরা দানবের জাতীতে নিবন্ধিত!! তাহলে কী যুগ ক্রমশঃ আহলামে জাহিলিয়াতের যুগে ধাবিত হচ্ছে??? বলার এবং করার কিছু কি নেই? নাকি এটাই আবার বলতে হয় “আবার তোরা মানুষ হ”।

মন্তব্য করুন