মোবাইল ফোনে প্রেম, অতঃপর সম্পর্ক। মাত্র ১ মাস ১০ দিনের মাথায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ। এমন অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর বাবার দায়ের করা মামলায় প্রেমিক অমিত চন্দ্র শীলকে ৯ জানুয়ারি শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালী শহরের আবাসিক হোটেল পানামায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বরাত দিয়ে বাউল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পটুয়াখালীর বাউল উপজেলার সিংহেরাকাঠি গ্রামের নবম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামের হরিচন্দ্র শীল এর ছেলে অমিত চন্দ্র শীলের।
অমিত ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি সেলুনে নরসুন্দর হিসেবে বেতনভুক্ত কর্মচারী। মাত্র ১ মাস ১০ দিনের মাথায় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরমধ্যে বিয়ে করার কথা বলে অমিত ঢাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী এসে হোটেল পানামায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী প্রেমিকাকেও সেখানে আসতে বলে।
ওসি জানান, বিয়ের কথা বলে অমিত বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেমিকাকে জোর করে ওই হয়হয়ের একটি কক্ষে ধর্ষণ করে। পরে হোটেল থেকে বের হয়ে বাউফলে তার বাবাকে ফোন করে ঘটনা জানায়। ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগীকে নিয়ে তার বাবা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে অমিতকে আসামি করে বাউল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩ তারিখ ৯/১/২১ইং। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গলাচিপার আমখোলা এলাকা থেকে রাতেই অমিতকে গ্রেফতার করে।
১০ জানুয়ারি রোববার আসামি অমিতকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী কার্যক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।