পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেড় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার অসুস্থ শিশুটিকে তার পরিবার পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

এছাড়াও শিশুর মেডি‌ক‌্যাল পরীক্ষা-নিরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আকলিমা বেগম জানান-ওই ঘটনায় শিশুর মল-মুত্র বন্ধ হয়ে গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দেয়া হয়েছে।

শিশুর মা জানান- সোমবার দুপুরে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টির এক আবাসনের ৫ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা আলাউদ্দিন জোমাদ্দারের ছেলে সুমন জোমাদ্দার (১৫) তার শিশু কন্যাকে আদর করে কোলে নেয়। এসময় মা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন।

কিছুক্ষণ পরে শিশুর কান্না শুনে ঘটনাস্থালে গিয়ে ধর্ষণরত অবস্থায় সুমনকে ধরে ফেলেন তিনি। পরে সুমন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সুমনের পরিবারকে জানানো হলে বিষয়টি চেপে যাওয়ার অনুরোধ করে।

এদিকে শিশুটির মা আরো জানান, জরুরি বিভাগের ডাক্তার তার শিশু অবস্থা দেখে ভর্তি দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিলেও ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ ভর্তি না নিয়ে ছারপত্র প্রদান করেন। শিশুটিকে কেন ছারপত্র দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছুক।

পটুয়াখালী গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার মোর্শেদকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বরিশাল ক্রাইম নিউজ

মন্তব্য করুন