ফেনীর দাগনভূঞায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রকে যৌননির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
৩ জুন বৃহস্পতিবার শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দাগনভূঞা থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ।
এর আগে সকালে দাগনভূঞা থানায় শিশুটির মা বাদীয় হয়ে মামলা করেন।
মামলার আসামি সাইদুর রহমান দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিপুর আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আব্দুল ইবনে আব্বাস (রা.) মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার পৌরসভার পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত ৩০ মার্চ মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রকে পায়ুপথে যৌন নির্যাতন করেন শিক্ষক সাইদুর রহমান। বিষয়টি কাউকে জানালে ছাত্রকে মারধরের হুমকিও দেন তিনি।
ঈদের ছুটির পর ছাত্রটিকে ফের মাদ্রাসায় পাঠাতে চাইলে শিশুটি তার বাবা-মাকে ঘটনাটি বলে। বিষয়টি তারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নুরুল হককে অবগত করেন। তবে ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নুরুল হক সাইদুর রহমানকে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নুরুল হকের সাথে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ আরও জানান, মুচলেকা দিয়ে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। একই সাথে শিক্ষক সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তারেও চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।