বগুড়ার ধুনটে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঘরে এক মাস আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি মাসুদ রানা (৩৭) অবশেষে ধরা পড়েছে। ধুনট থানা পুলিশ এক বছর পর মঙ্গলবার (৬ জুলাই) তাকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতার করে। বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ মামলায় দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
এজাহার সূত্র, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাসুদ রানা ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। গত বছরের ১৬ জুলাই তিনি প্রতিবেশী এক কৃষকের মেয়েকে রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। তাকে অটো রিকশায় তুলে নিয়ে একটি ঘরে এক মাসের বেশি সময় আটকে রাখেন। সেখানে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে এ কাজে গোপালনগর ইউনিয়নের সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ কয়েকজন সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ উঠে।
পরে ছাত্রীর মা ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানাকে প্রধান আসামি করে ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর আসামিরা ২৪ আগস্ট ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চাঁন্দাইকোণা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যান। পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। রিপোর্টে তাকে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই আহসানুল হকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনে আসামিদের গ্রেফতার না করে তাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ও বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ উঠে। ঘটনাটি জানাজানি হলে তাকে বগুড়া পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আলোচিত এ ধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। এরপর তিনি দু’দিনের মধ্যে দুই আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার ঢাকার সভার থেকে প্রধান আসামি মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ওসি এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।