বগুড়ার শেরপুরে বাসা-বাড়িতে কাজ দেয়ার কথা বলে বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে কয়েকজন মিলে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী তরুণীসহ মামুন প্রামাণিক (৩৫), সোহাগ সরকার (২২), আব্দুল খালেককে (৫০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার পর ওই তরুণী বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার এক তরুণী বৃহস্পতিবার বিকালে বাসাবাড়িতে কাজের খোঁজে শেরপুর শহরে আসেন। কাজের সন্ধান শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ধুনটমোড় এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি।
এ সময় শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন প্রামাণিক, আবুল শেখের ছেলে আব্দুল খালেক ও পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকার সাইফুল সরকারের ছেলে সোহাগ সরকারের পরিচয় হয়। পরে ওই তরুণীকে একজনের বাড়িতে কাজ দেয়ার কথা বলে কৌশলে বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুস সাত্তারের পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে ওই তরুণীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে উল্লেখিত তিনজনকে আটক করে এবং দুলু শেখ নামের এক ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।