রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কাউন্সিলর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরের তিন থানায় মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাগুলো করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মোমিন মামলা করেছেন বোয়ালিয়া মডেল থানায়। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মামলা করেছেন রাজপাড়া থানায়। আর নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

তিন বাদীই মামলায় অভিযোগ করেছেন, কাটাখালীর মেয়র আব্বাস আলী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মেয়র আব্বাস আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর থানায় এসে কাটাখালীর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন। তাঁরা মামলাটি নথিভুক্ত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। একইভাবে নগরের অন্য দুই থানা-পুলিশের পক্ষ থেকেও মামলা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আব্বাস আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্বে আছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ–সংক্রান্ত একটি অডিও কথোপকথন মঙ্গলবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আজ বুধবার কাটাখালী পৌরসভার কাউন্সিল, পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড রাজশাহী জেলা প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর এ বিষয়ে মেয়র ফোনে কোনো কথা বলেননি। পৌরসভায় নিজের কার্যালয়েও গতকাল তিনি যাননি। পরে সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি অডিওর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ গেট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানানোর পর থেকে একটি অশুভ শক্তি এটি যেন নির্মাণ করতে না পারি, এ ব্যাপারে ষড়যন্ত্র শুরু করে।’ ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের এই অডিও সম্পাদনা করে প্রচার করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন