রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা রাজা মিয়াকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গণধোলাই শেষে রাজা মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শনিবার দুপুরে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজা মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মেয়েটির মা।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা রাজা মিয়া পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামের হাছেন মোল্লার ছেলে এবং রিকশাচালক।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির মা-বাবা কুষ্টিয়াতে কাজ করে এবং সেখানেই থাকে। বাবা রিকশা চালায় আর মা একটি মেসে রান্নার কাজ করে। মেয়েটি তার দাদির সঙ্গে পাট্টা ইউনিয়নে গ্রামের বাড়িতে থাকে। এই সুযোগে মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে এক বছর ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করে বাবা।
গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে মেয়েকে আবারও ধর্ষণ করে বাবা কুষ্টিয়ায় চলে যায়। এদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি চাচা, দাদি ও স্থানীয়দের জানায় মেয়েটি।
শনিবার বাবা রাজা মিয়া বাড়ি আসলে তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় স্থানীয় জনতা। পরে থানায় ফোন দিয়ে রাজা মিয়াকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস।
চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়ের বাবাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে স্থানীয় জনতা। পরে থানায় ফোন দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাংশা থানা পুলিশের ওসি আহসান উল্লাহ বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া তার মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ