ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ধর্ষণের শিকার এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ছেলে সন্তানের মা হয়েছেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশুটি জন্ম নেয়। এ ঘটনার পর দিশেহারা ওই কিশোরীর পরিবার ধর্ষকের শাস্তি দাবি করেছে।
অভিযুক্ত শামিম মিয়া বর্তমানে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার আছে। পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশে কিশোরীর ও শিশুটির ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, গত অক্টোবরে ওই কিশোরীকে প্রথম হাসপাতালে আনা হয়। তখন আমরা তাকে ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হিসেবে পাই। পরে তার চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী গতকাল রাতে হাসপাতালে আসলে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। মা ও শিশু দুজনেই বর্তমানে সুস্থ আছেন।
কিশোরীর বাবা জানান, আমার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে শামিম। বিষয়টি নিয়ে সালিশ বসলে সে প্রভাবশালী হওয়ায় বিয়েতে রাজি হয়নি। পরে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি ডাক্তার জানানোর পর গত ২ অক্টোবর শামিম ও তার সহযোগী নুর আলমের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা করি। পরে পুলিশ ওই দিনই শামিমকে গ্রেফতার করে।
কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার পাঁচ মেয়ের মধ্যে এই মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী। সে স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না। মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে ধর্ষকের সহযোগী নুর আলমের মাধ্যমে জানতে পারি তাকে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষক ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ডিএনএ টেস্টের পর আদালতের মাধ্যমে আইন আনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।