বরগুনা-৩ আসনে আজ বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন, সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসীরা গত মঙ্গলবার এবং গতকাল বুধবার বোমা হামলা, ভীতি প্রদর্শন এবং একটি মেয়ের শালীনতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক ও আমতলী ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি জহিরুল হক মামুন এবং জালাল ফকিরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল নিয়ে স্থানীয় হিন্দু অধ্যুষিত বেহালা গ্রামে প্রবেশ করে বোমাবাজি করে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করে। এরপর গ্রামের ২২টি সংখ্যালঘু বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে তাদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে তারা স্থানীয় এক শিক্ষকের বাড়িতে প্রবেশ করে তার মেয়ের শালীনতাহানির চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। এতে তার মেয়ে সুমী আহত হয়। পরে তারা বড়ইতলা এলাকায় গিয়ে একই স্টাইলে ভীতি সৃষ্টি করে বলে জানা যায়। ভোটকেন্দ্রে যেতে মানা! বরগুনার সংখ্যালঘু গ্রামে সন্ত্রাসীদের হানাগতকাল বুধবার সকালে চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে ১ ঘণ্টাব্যাপী বোমা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভীতির সৃষ্টি করা হয়। বরগুনা-১ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ ও বহিষ্কৃত আ. লীগ নেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন গতকাল বুধবার বিকেলে আমতলীতে অবস্থানকালে প্রথম আলোকে জানান, সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ এবং জনগণ ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন।
প্রথম আলো, ১৭ জানুয়ারি ২০০২