ভোলায় নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। গত ২ জানুয়ারি রাতে বাড়ির সামনে থেকে ধর্ষকরা তাকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। দুই দিন পর ৪ জানুয়ারি শনিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রবিবার ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ভিকটিমের পিতা সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার সম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ২ জানুয়ারি এশার নামাজের সময় বাসার সামনে থেকে একই বাড়ির শফিউল্লাহ বখাটে ছেলে রাকিব (২২) এবং অপর দুই যুবক মিলে মুখ বেঁধে সুপারি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেলে রাকিবের ঘরের একটি রুমে আটকে রাখে। এদিকে ছাত্রীর পরিবার তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কিন্তু ২ দিন পর ৪ জানুয়ারি বিকালে রাকিবের ঘরের একটি রুম থেকে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। গুরুতর অবস্থায় তাকে চিৎিসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে ধর্ষকের পরিবার বাধা দেয়। পরে রাতে গোপনে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী জানান, তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। জ্ঞান ফিরে দেখেন তার শরীরে রক্ত। ধর্ষিতার পিতা মাতা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
ভোলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, ওই রোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ বা আদালত থেকে চাওয়া হলে ওই রির্পোট দেয়া হবে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি তজুমদ্দিন থানায় রাকিবসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক জানান, তারা আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বিডি প্রতিদিন

মন্তব্য করুন