ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ২৯ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) রাতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে লিখিত অভিযোগ নিয়েছে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ। এঘটনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী শামিমকে গ্রেফতার করেছে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাচঁড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সরকারী আবাসনের বাসিন্দা মানুষিক প্রতিবন্ধী মোস্তফার ১৫ বছরের কিশোরী মেয়েকে একই এলাকার জাকির মাঝির ছেলে শামিম দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল।
এতে ওই কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে পরলে কয়েক দিন আগে এলাকায় জানাজানি হয়। অন্তসত্ত্বা কিশোরীর মা স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য খোকন তালুকদারের কাছে ওই ঘটনার বিচার দাবী জানালে তিনি বিচারের আশ্বাস ও চাপ প্রয়োগ করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ভিকটিমের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে দিতে বাধ্য করে।
পরে ওই প্রভাশালীরা ভিকটিমের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত শামিমের পরিবারের লোকজন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের পরিবারকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে জানান ভিকটিমের মা পেয়ারা বেগম গেদি।
পেয়ারা বেগম আরো জানান, খোকন তালুকদার আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, এবিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে দিবে। বর্তমানে ভিকটিমের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে খোকন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভিকটিমের মা আমার কাছে বিচার নিয়ে আসছিল এবং আমি উক্ত ঘটনার ফয়সালা করার কথা বলেছি। পরে কি হয়েছে আমি জানিনা।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, আমরা ভিকটিমের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আসামি শামিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্রঃ গোনিউজ