পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মসজিদের সড়ক নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আবদুল মান্নান (৫৬) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন আরও চার জন। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

বৃহস্পতিবার ( ৪ জানুয়ারি) সকালে সড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দেউলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিপনের বাবা কেতাব আলী (৬৫) ও বড় ভাই লিটনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মান্নান দেউলী গ্রামের মৃত রফেজ উদ্দিনের ছেলে এবং পশ্চিম সুবিদখালী সালেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাষক।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সকালে ওই এলাকার মসজিদের সড়ক নির্মাণে বাধা দেয় কেতাব আলী ও তার ছেলেরা। এ সময় মান্নান প্রতিবাদ করলে তার গলায় এবং বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে শিপন। পরে মান্নানের চাচাতো ভাই আজাহার হাওলাদার, শাকির, সাইদুর ও হানিফ এগিয়ে আসলে তাদের ওপর হামলা চালায় কেতাব আলীর ছেলেরা। স্থানীয়রা মান্নানসহ আহদের উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নানকে মৃত ঘোষণা করে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিপনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন