নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বড় মহেষপুর গ্রামের আদিবাসীদের উচ্ছেদ করার জন্য স্থানীয় বিএনপি ক্যাডাররা উঠেপড়ে লেগেছে। সাজ্জু নামের এক ক্যাডার সেখানকার আদিবাসী নেতা রুনু পাহানকে আলফ্রেড সরেনের মতো হত্যার হুমকি দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মকিম উদ্দিনের সহায়তায় শরিফপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম আদিবাসীদের উচ্ছেদের প্রচেষ্টা করছে। পুলিশও তাদের রক্ষার পরিবর্তে উল্টো গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে। ওই গ্রামের ৭০ ঘর আদিবাসী বিএনপি ক্যাডারদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, বড় মহেষপুর গ্রামের ২ একর ১৪ শতক পরিমাণ একটি খাসপুকুরপাড়ে যুগ যুগ ধরে ৬০/৭০টি আদিবাসী পরিবার বসবাস করে আসছে। তিন একরের কম পরিমাণ খাসপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লিজ দেয়ার বিধান না থাকলেও চেরাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মকিম উদ্দিন সম্প্রতি পুকুরটি লিজ দেয়ার কথা বলে আদিবাসীদের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করে। কিন্তু পরবর্তীতে আমিনুল ইসলাম নামে এক বিএনপিকর্মীর নামে গোপনে এবং বেআইনীভাবে পুকুরটি লিজ দেয় বলে দাবি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আমিনুল বিএনপি ক্যাডারদের নিয়ে আদিবাসীদের উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে। এমনকি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তারা থানা পুলিশকে হাত করেছে। শুক্রবার বিকালে পুলিশ আদিবাসীদের থানায় হাজির হওয়ার নোটিস দেয় এবং হাজির না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে বলে আদিবাসীরা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এই মহাদেবপুরের ভীমপুরে আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনকে বিএনপি নেতা হাতেমের লোকজন হত্যা করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৬ জুন ২০০২