মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এবারের দাখিল পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

২২ জানুয়ারি রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে আটক তরুণের নাম সালাম মিয়া (২৪)। তিনি বিবাহিত।

কমলগঞ্জ থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২২ জানুয়ারি বিকেলে মাদ্রাসাছাত্রীর মা তাঁর ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে যান আর মেয়েটির বাবা সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করতে যান। এই সুযোগে রাত আটটায় মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে বখাটে সালাম জোর করে তুলে নিয়ে ছাদ উদ্দীনের বসতঘরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাবা কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ করে বলেন, তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মেয়েকে তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে যান সালাম। মেয়ে বাড়িতে ফিরে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা জানালেও তাঁরা লোকলজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাননি। মেয়ের শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকলে অবশেষে মেয়েকে ২৯ জানুয়ারি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তিনি আরও বলেন, মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই সালাম বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন আর উত্ত্যক্ত করতেন।

অভিযোগ পেয়ে কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় সালাম মিয়াকে আটক করে।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ৩০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সালামকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

প্রথম আলো

 

মন্তব্য করুন