মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গলে ১৭ বছর বয়সী এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে চা বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে এক টমটম চালকসহ চা বাগানের দুই নৈশ প্রহরী। এ ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উপজেলার ভাড়াউড়া চাবাগানের মৃত অনিল দোষাদের ছেলে কৈলাশ দোষাদ (২৫) ও একই চাবাগানের মৃত পূজনা মৃধার ছেলে জহর লাল মৃধা (২৯)। তারা দু’জনই ওই চাবাগানের নৈশ প্রহরী।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে অফিসার ফোর্সসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। অপর ধর্ষক টমটম চালককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় বধ্যভূমি সংলগ্ন ভাড়াউড়া চা বাগানের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সোহেল রানা ও ওই কিশোরীর মা জানান, মেয়েটি দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ায় ঝিয়ের কাজ করতো। গত ৯দিন আগে সে তার মালিকের সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসেন।
৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যার পর একই এলাকার পূর্ব পরিচিত আঞ্জব আলীর ছেলে অটোরিক্সা চালক ইয়াকুব আলীর (১৬) সঙ্গে মেয়েটি বধ্যভুমি এলাকায় বেড়াতে যান। সেখানে রাত নয়টা পর্যন্ত অবস্থান করে রাস্তার পাশে ঝাল মুড়ি খাওয়ার সময় অপরিচিত এক টমটম চালক তাদের বাসায় পৌঁছে দিবে বলে তাদেরকে টমটমে উঠায়। এসময় আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা দুই ধর্ষক টমটমে উঠে ভাড়াউড়া চা-বাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষকদের একজন মেয়েটির সঙ্গে থাকা ইয়াকুবকে রশি দিয়ে টমটমে বেধে রাখে। প্রথমে টমটম চালক ও ধর্ষক কৈলাশ দোষাদ দু’জনমিলে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের একজন ফিরে এসে পরে ধর্ষক জহরলাল মৃধাও তাকে ধর্ষণ করে। পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ধর্ষিতা কিশোরী ও ইয়াকুবকে বধ্যভুমির কাছাকাছি রাস্তায় ফেলে ধর্ষকরা টমটম নিয়ে পালিয়ে যায়। বাসায় গিয়ে তারা পুরো ঘটনা মেয়েটি তার মাকে জানালে তাদের নিয়ে রাতেই থানায় যান তিনি। পুলিশকে অবহিত করার পর ধর্ষকদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে রাত ১ টার দিকে তাদের ভাড়াউড়া চা-বাগান থেকে আটক করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুছ ছালেক জানান, ওই কিশোরীর জবানবন্দি শেষে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাতেই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক দু’জনকে থানায় নিয়ে আসার পর মেয়েটি ও তার সঙ্গে থাকা ইয়াকুব ধর্ষক দুজনকে সনাক্ত করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।