ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তাকমিনা আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর গলায় ওড়না বেঁধে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। ২৩ মার্চ  সোমবার গভীর রাতে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের পাড়া ভরট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

 

মেয়েটিকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তাকমিনা আক্তার পাড়া ভরট গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার মেয়ে। গত বছর স্থানীয় আঠারোদানা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর আর কলেজে ভর্তি হয়নি সে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বোনের মধ্যে তাকমিনা সবার বড়। সোমবার রাত ৯টার দিকে সে ও তার আরেক বোন সুমাইয়া আক্তার খাবার খেয়ে আলাদা ঘরে ঘুমাতে যায়। রাতে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে পাড়া ভরট জামে মসজিদের পাশে চান্দে মড়লের ভিটায় তাকমিনাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ সময় তার ব্যবহূত মোবাইল ফোনটি পাশেই পড়ে ছিল। ভোরে স্থানীয় লোকজন লাশ দেখে বাড়িতে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িতরা মেয়েটির পরিচিত। রাতে তাকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার এসআই জাকির হোসেন ও আহসান হাবিব সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের বাবা আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার মায়াডারে জানোয়ারের বাচ্চারা সর্বনাশ কইরা মাইরা লটকাইয়া রাখছে। আমি এর বিচার চাই।’

গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে মেয়েটিকে ধর্ষণ-হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।

সমকাল

মন্তব্য করুন