ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈ সালিশের নামে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১ ডিসেম্বর রোববার উক্ত ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম তরুণী (১৯) বাদী হয়ে একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে।

২ ডিসেম্বর সোমবার ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসেম জানান, ঘটনাটি সালিশের কারণে ধর্ষণের আলামত হয়তো কিছুটা নষ্ট হয়েছে তবে আসামি আশরাফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জানা যায়, অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম দুই বছর ধরে ভিকটিম তরুণীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্তসহ অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ২২ নভেম্বর ওই তরুণী ঢাকায় একটি গার্মেন্ট কোম্পানিতে তার সহকর্মীকে বিয়ে করে নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসে। পরদিন বাড়ির পাশে একটি ইসলামী সভা থেকে ফেরার পথে ওই তরুণীকে আশরাফুল ইসলাম ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি তরুণী তার পরিবারকে জানালে বিচারকারীরা বিষয়টি ফায়সালা দেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় পাঠায়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা জানায়, এ ঘটনায় আমার কন্যার জামাতা চলে গেছে এবং ফোন করে জানায় আমার মেয়েকে নিয়ে ঘর সংসার করবে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাজহারুল ইসলাম মাসুদ জানান, আমরা চেষ্টা করছিলাম ঘটনাটির মীমাংসা দিতে। কিন্তু ওই পক্ষ সালিশে আসে নাই। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় পাঠিয়েছি।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন