যশোর নীলগঞ্জ মহাশ্মশান সংলগ্ন মন্দিরের দুইটি প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে পুলিশ সন্দেহজনক ১০ জনকে আটক করেছে। রোববার রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নীলগঞ্জ ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ যুবককে আটক করা হয় বলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে।
আটককৃতরা হলো, ঝুমঝুমপুর এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে জহির কামাল বাদশা, বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা এলাকার ফজলুর রহমান মুকুলের তিন ছেলে হাফিজুর রহমান সবুজ, আনিসুর রহমান সুমন এবং সুজন ওরফে কুটু, মৃত সুবাস ঘোষের ছেলে শুভ ঘোষ, বালিয়াডাঙ্গা মান্দারতলা এলাকার মৃত শাখাওয়াৎ আলীর ছেলে ফজলুর রহমান চুটকি, শেখহাটি কালীতলা এলাকার অশোক ভট্টাচার্যের ছেলে বিশ্বজিৎ ভাট্টাচার্য্য, নীলগঞ্জ শ্মশান রোডের মৃত খোকনের ছেলে সোহাগ, একই এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিন খানের ছেলে আহমেদ আলী খান ও নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার ওহিদুজ্জামান আহাদের ছেলে সেলিম রেজা রয়েল।
কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ১৩ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নীলগঞ্জ মহাশ্মশান সংলগ্ন মাঠে বসে একদল যুবক মাদক সেবন করছিল। সে সময় নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। তারা চলে যাওয়ার পর শ্মশানের সৎকার কাজে নিয়োজিত খোকন বিশ্বাস লক্ষ্য করেন; দুটি প্রতিমার মাথা ভাঙা। কে বা কারা প্রতিমা দুটি ভাংচুর করেছে। কোতোয়ালি থানায় সংবাদ দিলে সেখানে গিয়ে দুটি প্রতিমার মাথা বিচ্ছিন্ন দেখতে পায়।
পরে ওই এলাকা ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটককৃতদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি ওসি।