যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হাঁসাডাঙ্গা গ্রামের একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

ভুক্তভোগি এক ছাত্র জানায়, একদিন মাদ্রাসায় কেউ না থাকার সুযোগে হুজুর আমাকে দিয়ে গা টেপায়। এক পর্যায় হুজুর তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে মালিশ করাতে বাধ্য করেন।
ভিক্টিম আরেক ছাত্র ভয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলো না। পরে সে মুখ খোলে। সে জানায়, কয়েক মাস আগে হুজুরের বোনের বিয়েতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কাকী আলাদা ঘরে ঘুমান। আর তাকে নিয়ে হুজুর আরেক ঘরে ঘুমায়। রাতে মোবাইল দেখতে দেখতে হুজুর তার সাথেও খারাপ কাজ করে।

আরেক ছাত্র একই অভিযোগ করেছে।
সম্প্রতি মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র মুখ খুললে এলাকায় তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা কমিটি শালিসি সভা করে পুরো ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে এড়িয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে বলাৎকারের শিকার কোন ছাত্রের অভিভাবককে সেখানে ডাকা হয়নি।
অবশ্য ঘটনাটি নিয়ে গ্রামবাসী বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একপক্ষ হুজুরের পক্ষাবলম্বন করে পুরো ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করছেন। এছাড়া কমিটির লোকজনসহ ওই পক্ষটি যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্র ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘটনা না বলতে চাপ দেয়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক ভুক্তভোগীর পিতা ক্ষুব্ধ কন্ঠে জানান, তাদের কাউকে না জানিয়ে শালিসি সভার নামে আয়েশি সভা করা হয়েছে।

মানব জমিন

মন্তব্য করুন