যশোরের শার্শা উপজেলায় একটি মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

 

বাগআচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আনোয়ারুল আজিম বলেন, বৃহস্পতিবার ( ১৬ জুলাই) গোপালপুর ইছাপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্দুল গফুর মাদ্রাসা কক্ষে এই ঘটনা ঘটান বলে ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।

এরপর থেকে অভিযুক্ত সুপার পলাতক রয়েছেন।

আব্দুল গফুর (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি শার্শা উপজেলার বালুন্ডা গ্রামের প্রয়াত বাকাতুল্লা ভোগার ছেলে।

গোগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মাদ্রাসা বন্ধ; তবে অফিস খোলা রয়েছে।

“বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে আব্দুল গফুর তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে তার বাবা ও মায়ের কাছে ঘটনাটি বলেন।”

এতে মেয়ের বাবা ও গ্রামের স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসায় খোঁজ নিতে গেলে গফুর পালিয়ে যান বলে সালাম জানান।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে ঘটনাটি শোনার পর তা শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করেন বলেও সালাম জানান।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম বলেন, শুক্রবার (১৮ জুলাই) এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই ব্যক্তিকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন