ডার্কওয়েবে বিট কয়েনের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে আউয়াল নেওয়াজ ওরফে সোহেল নেওয়াজ এবং ফজলে রাব্বি চৌধুরী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের সদস্যরা।

 

২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা উভয়ই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিট কয়েনের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। কিন্তু আনসার আল ইসলামের একটি গ্রুপ জঙ্গি অর্থায়নে বিট কয়েনকে বেছে নেয়। গ্রেপ্তার সোহেল ও রাব্বি স্বীকার করেছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৎপর আনসার আল ইসলামের সদস্যদের কাছ থেকে তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অর্থ গ্রহণ করত। এই কাজে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন আছে। পরে সেই অর্থ বিট কয়েনে রূপান্তর করে সাদ নামে এক জঙ্গির কাছে
পাঠানো হতো। পুলিশের ধারণা, সাদ বর্তমানে বাংলাদেশেই আত্মগোপন করে আছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সোহেল নেওয়াজ বিট কয়েনের ট্রেডার ও সেলারও। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ কাজ করে আসছিল।
পুলিশ আরও জানায়, আনসার আল ইসলাম জঙ্গিরা ইন্টারনেটে টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। সেখানে তারা ‘ফি সাবিলিল্লাহ ইনসাফ’ নামে একটি চ্যানেলও পরিচালনা করত। এর মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত করে আসছে তারা।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের এডিসি আহমেদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, জঙ্গিবাদে অর্থায়নের দিক থেকে বিট কয়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই জঙ্গিরা ডার্কওয়েবে এই লেনদেনের পথ বেছে নিয়েছে। সোহেল ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদে বিট কয়েনের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। এই কাজে আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আমাদের সময়

মন্তব্য করুন