রাজধানীর উত্তরায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে অন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

 

২০ অক্টোবর মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার জামিয়াতুস সালাম আল-আরাবিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ১৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আব্দুল্লাহর মরদেহ মাদ্রাসার রান্নাঘরের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যার পর পুলিশকে খবর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে ওই শিক্ষার্থীকে দাফন করে ফেলেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। মাদ্রাসার শিক্ষক বশির আহমদ তড়িঘড়ি করে তার দাফন সম্পন্ন করেন বলেও অভিযোগ পরিবারের। তবে, তা অস্বীকার করছেন মাদ্রাসা শিক্ষক বশির আহমদ।

নিহত আশরাফুল ইসলাম আব্দুল্লাহর ডায়রিতে পাওয়া গেছে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের শিকার হওয়াসহ নানা ঘটনার কথা। তার পরিবারের দাবি, ওই মাদ্রাসার কোন এক শিক্ষার্থী তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

নিহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা জুবায়ের হোসেন জানান, ছেলের ডায়েরি পড়ে এটা বোঝা গেছে যে সে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতো।

নিহত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা খালু শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘মাদ্রাসার সিনিয়র দুই শিক্ষার্থী রেদওয়ান এবং মেজবাহর দেয়া ধর্ষণের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হয়তো তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এর এক পর্যায়ে সে মারা গেলে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়।’তবে, সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।

এদিকে, এ ঘটনায় ২৪ অক্টোবর শনিবার রাতে রাজধানীর তুরাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর বাবা জোবায়ের হোসেন।

ডিবিসি নিউজ.টিভি

মন্তব্য করুন