রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় এক নারীকে (৩৫) চাকরি দেওয়ার কথা বলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মচারী সনজিব কুমার দাস ও তার সহযোগী আনিকাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করেন। এই সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আসামিরা বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করায় বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ মার্চ একই আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই আসামিকে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে মাদারটেক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সবুজবাগ থানা পুলিশ। জানা যায়, কেরাণীগঞ্জের বাসিন্দা এক নারীকে ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মাদারটেকের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যান সনজিব দাস। তার সঙ্গে রাসেল, জামাল, আজিজুর রহমান ও আনিকা নামে এক নারী ওই বাসায় ছিল। সেখানেই ওই নারীকে সনজিবসহ বাকিরা ধর্ষণ করে।
এই ঘটনায় সবুজবাগ থানায় সনজিবকে এক নম্বর আসামি করে আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। ধর্ষণের শিকার ওই নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি পূর্বপরিচিত সনজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কুশল বিনিময়ের সময় তিনি তার সন্ধানে ব্যাংকে ভালো চাকরি থাকার কথা জানান ভুক্তভোগীকে। পরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাদারটেকের ওই বাসায় ডেকে নেন। এক পর্যায়ে সেখানে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত নারী আনিকা এই কাজে সহায়তা করে। এই ঘটনা জানাজানি হলে সনজিব ওই নারীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।