চার কিশোর পালাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ঝর্ণা বেগম (১৮) নামে তরুণীকে। অভিযুক্ত ওই চার কিশোর রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুধাংশ শেখরের আদালতে ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে তারা।

 

অভিযুক্ত চার কিশোরের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে দুজন জেলার কালুখালী উপজেলার সর্বকুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া একজন বিল শ্যাম সুন্দর গ্রামের এবং অন্যজন মহিষ লুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

কালুখালী থানার ওসি মো. মাসুদুর রহমান জানান, চার কিশোরকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালতে তারা বলে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হতো তাদের মধ্য এক কিশোরের। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে কৌশলে ঝর্ণাকে তার নিজ বাড়ির অদূরে থাকা কালিকাপুরের একটি কলা বাগানে ডেকে নয়। সেখানে তাকে গ্রেপ্তার ৪ কিশোর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ঝর্ণা পুলিশকে জানানোর কথা বলতেই তারা বিবস্ত্র অবস্থায় ঝর্ণার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

ঝর্ণা বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চরতিলোকা গ্রামের হাসানের মেয়ে। গত বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর কালুখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন