রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সাতদিন পর ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সামনের বাড়ি থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চারজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- কাঠালবাড়িয়া গ্রামের দুলু (৫২), তার স্ত্রী শহিদা বেগম (৪৮), প্রতিবেশী সুজন আলী (৪০) ও গন্ডগোহালী-হলহোলিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী হাওয়া বেগম (৫০)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই ছাত্রী গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে বাড়ির পাশে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিল। এসময় গন্ডগোহালী-হলহোলিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০) ও তার কয়েকজন সঙ্গী জোরপূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণের সাতদিন পর গত বৃহস্পতিবার পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে দুলুর বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতে আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে থানায় ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন। স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগের পর আমরা তাকে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছি। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ বাকি দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।

আমাদের সময়

মন্তব্য করুন