রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরুষ নার্সের (ব্রাদার) বিরুদ্ধে একজন রোগীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ওই নারীর ভাশুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত ওই ব্রাদারের নাম শাহিনুল ইসলাম। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আগেও উঠেছিল।
ভুক্তভোগী নারীর ভাশুর মঞ্জু অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তার ছোট ভাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও স্বজনরা তার দেখাশোনা করছেন।৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ ব্রাদার শাহিনুল ইসলাম কৌশলে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে (২০) তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তিনিও অসুস্থ এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করার দরকার বলে ব্রাদার জানান।
রক্তচাপ পরীক্ষা করার সময় তিনি ওই নারীকে যৌন হয়রানি করেন। ওই নারী বিষয়টি তার স্বজনদের জানান। এরপর ওই নারীর ভাশুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।
ওই নারীর ভাশুর বলেন, শাহিনুল হক নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চিকিৎসা নিতে আগ্রহ না দেখালেও তিনি (শাহিনুল ইসলাম) ডেকে নিয়ে রক্তচাপ মাপেন।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শাহিনুল ইসলাম এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারা শাহিনুলকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন। সম্মানহানির ভয়ে অভিযোগ দেননি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচএ) নার্সদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে গেলে শাহিনুল ইসলাম নার্সদের কক্ষের সিসি ক্যামেরাও অপসারণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।