শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের পম-সাজনপুরের একটি মাদরাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ১৪ বছরের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে মাদরাসাটির প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল হাসানের (৩৮) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মামা (রুহুল আমিন ছৈয়াল) বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর ১৪ বছরের ভাগ্নে ভেদরগঞ্জ থানাধীন পম-সাজনপুরের একটি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় পড়াশোনা করেছে। আসামি মো. মাহমুদুল হাসান (৩৮) ভুক্তভোগীকে গত ১২ মে রাতে ঘুমানোর রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরের দিন সকালে বাদীর ভাগ্নে মাদরাসা থেকে বাড়ি চলে যায়। বাদী তার ভাগ্নেকে মাদরাসায় যাওয়ার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। বাদীর ভাগ্নে লোকলজ্জার ভয়ে যথাসময় ঘটনাটি প্রকাশ করেনি। বাদীর দায়ের করা এজাহারে ভিত্তিতে ভেদরগঞ্জ থানায় ১৩ জুন সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং -৫।

অভিযুক্ত আসামি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার পশ্চিম ছোট বুইচাকাঠি এলাকার আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে বলে জানা যায়।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশীদুল বারী বলেন, ‘ভিকটিমের বাবা একজন প্রবাসী। তাই ছেলেটি মামা বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে। ছেলেটি লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করেনি। মামা মাদরাসায় যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। মামলা রুজুর পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিমকে হেফাজতে নিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন