শরীয়তপুরের আন্তঃজেলা পরিবহনের চারজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ১ জুলাই সোমবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা এ ঘটনায় পালং থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-ইসলাম ফকির, রাকিব মণ্ডল, সবুজ ও ইকবাল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত রাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার তিন দিন পার হলেও বাকি তিনজনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বাস করতো ওই ছাত্রীর পরিবার। গত বছরে পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর পর জজিরা পৌরসভার একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতো তারা। ৩০ জুন রোববার দুপুরের পর ওই ছাত্রী মাদারীপুরে তার বোনের বাড়ির উদ্দেশে বের হয়। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে মেয়েটির সঙ্গে দেখা হয় মামলার আসামি ইসলাম ফকিরের। ইসলাম সঙ্গে ওই তরুণীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল।
বাসস্ট্যান্ডে দেখা হওয়ার পর ইসলাম তাকে নিজ বাসে করে মাদারীপুর পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে ওই ছাত্রীকে তার অপর তিন সঙ্গী রাকিব মণ্ডল, ইকবাল ও সবুজের সঙ্গে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে মনোহর বাজার বাসস্ট্যান্ডে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নিয়ে আপ্যায়নের পর তাকে আসামি রকিবের বাড়িতে নিয়ে রাকিব, ইকবাল ও সবুজ হাত-পা দড়ি দিয়ে ও গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে। রাতে ইসলাম ফকির ওই তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করেন।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শরীয়তপুর বন বিভাগের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় স্থানীয় একজন অটোরিকশাচালক তাকে উদ্ধার করেন।
শরীয়তপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পরে বাসস্ট্যান্ডে রাকিবকে দেখতে পেয়ে প্রথমে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে আটক করি। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেই। বাকি আসামিদের আটক করার জন্য আমি পুলিশকে সহায়তা করবো।’
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘চারজন মিলে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। পলাতক বাকি তিন আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’