শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম মোসাদ্দেক মীম। তিনি শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

 

২০ অক্টোবর মঙ্গলবার ফেসবুকে অভিযুক্ত মোসাদেক্কের সঙ্গে ভুক্তভোগীর কথোপকথনের স্ক্রিনশটের কিছু অংশ তুলে ধরে এ অভিযোগ করেন সিলেটের পার্কভিউ মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রী। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী এখনো কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে দেখা যায়, অভিযুক্ত মোসাদ্দেক ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। একইসঙ্গে নানা ধরনের আপত্তিকর ও অকথ্য ভাষায় মন্তব্য করেন।

মোসাদ্দেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বিতর্ক বিষয়ক সংগঠন ‘সাস্ট-স্কুল অব ডিবেট’ এর অ্যাসিসটেন্ট ডিবেট ডিরেক্টর ও ‘সিলেট ডিবেট ফেডারেশন’র ডিবেট ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগীর কথপোকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার (ভাইরাল) পর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মোসাদ্দেককে ‘সাস্ট-স্কুল অব ডিবেট’ ও ‘সিলেট ডিবেট ফেডারেশন’ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ নিয়ে সিলেট ডিবেট ফেডারেশন (এসডিএফ) তাদের ফেসবুকের অফিসিয়াল পেইজে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। এছাড়া মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্খিত বেশ কিছু অভিযোগ এবং প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠে এসেছে।

একইসঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাকে (মোসাদ্দেক) স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় পোস্টে। পাশাপাশি সিলেটের সকল বিতর্ক ক্লাব থেকে মোসাদ্দেক মীমকে বয়কট করার আহবান জানানো হয়।

এ বিষয়ে এসডিএফ-এর সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আর ভুক্তভোগী এ বিষয়ে আইনের সহায়তা নিতে চাইলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।’

সাস্ট স্কুল অব ডিবেটের সভাপতি ত্রিদ্বীপ সেন বলেন, সংগঠনের শুরু থেকে আমরা যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আছি। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে দৃষ্ঠান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে ‘ইকুইটি প্যানেল’ নামে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে সাস্ট স্কুল অব ডিবেট’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

 

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন