শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৩৯০ জন নিহত ও ৫০০ জনের বেশী আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৩৫ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

শ�রীলঙ�কায় গির�জাসহ বিভিন�ন হোটেলে ভয়াবহ হামলায় নিহত ৪২, আহত ২৮০

ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ সেসব বিস্ফোরণের পর রাজধানী কলম্বোর হাসপাতালে অন্তত ৮০ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববারে স্থানীয় সময় সকালে গির্জা ও হোটেলসহ মোট ছয়টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে শ্রীলঙ্কায়। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি হোটেলে ও তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে ।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে কোচচিকাদে এলাকার সেইন্ট অ্যান্থনির চার্চ, কাটুয়াপিতিয়ার সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের চার্চ এবং বাত্তিকালোয়ার একটি গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে বোমা হামলা চালানো হয়।

কাছাকাছি সময়ে রাজধানী কলম্বোর শাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবুরি হোটেলেও বিস্ফোরণ ঘটে। শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হতাহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটক থাকতে পারে।

নিহতের সংখ্যা আড়াইশ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জাতেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাত্তিকালোয়ায় অন্তত ২৫ জনের লাশ উদ্ধারের খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

আপডেট:

শ্রীলঙ্কায় তিনটি চার্চ ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে শতাধিক প্রাণহানির রেশ কাটতে না কাটতেই ৭ম বারের মত হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুপুরের দিকে এলিফ্যান্ট শো-এর জন্য বিখ্যাত দেহিওয়ালা নামের একটি চিড়িয়াখানার কাছে নতুন করে বিস্ফোরণ চালানো হয়েছে। এতে অন্তত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

আপডেট:

আরো একটি আত্মঘাতী হামলার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর ডেমাটাগোদার একটি আবাসন এলাকায় অষ্টম বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে বলে শ্রীলংকান পুলিশ নিশ্চিত করেছে। নিহতের সংখ্যা ২৯০ পৌঁছেছে।

আপডেট:

দুপুর তিনটার পরে শ্রীলঙ্কায় কার্ফু জারী করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক গণমাধ্যমগুলোর একসেস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।

 

রয়টার্সবিবিসিওয়াশিংটন পোস্টআল জাজিরা ডেইলি মিররদ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টএএফপি

মন্তব্য করুন