ভোলা শহর থেকে ৬ কি. মি. দূরে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চরকুমারী গ্রামের সরকার বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো আবার ডাকাতি হল গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ডাকাতের দায়ের কোপে আহত হয়েছে সূর্যকুমার সরকারের পুত্রবধূ সীমা রানী সরকার (১৯)। ডাকাত সীমার মাথায় ধারালো দা বা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দেয়। সীমার স্বামী সঞ্জীব তখন ঘরে ছিল না। সীমার শ্বশুর অসুস্থ সূর্যকুমার সরকার ঘরে ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২০/২৫ বছর বয়সের একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে ঘরের লোকজনদের এলোপাতারি মারধর করে এবং সীমার কপালে কোপ দিয়ে প্রথমে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং ‘টাকা কোথায় তাড়াতাড়ি বের কর না হয় জবাই করে দেব’ বলে হুমকি দেয়। ভয়ে অসুস্থ সূর্যকুমার তার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ডাকাতদের দিয়ে দেয়। ডাকাতরা ওই পরিবারের রেখা রানী ও শেফালী রানীর গলার স্বর্ণের চেইনও ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতদের এলোপাতাড়ি মারধরে সীমা রানী ছাড়াও গৃহকর্তা বৃদ্ধ সূর্য কুমার সরকার, তার স্ত্রী প্রভারানী (৬০), পরিবারের সদস্য রেখারানী ও শেফালী রানীও আহত হন। নিরাপত্তার অভাবে সূর্যকুমার সরকারের পুত্রবধূ ও কন্যারা এখন এলাকা ছেড়ে ভোলা শহরে আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদ, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০২