টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের কথা বলে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ থানায় জানানোর পর বাড়ি ছেড়ে পালান অভিযুক্ত যুবক দীপক চন্দ্র সরকার (২৫)। চার দিন পর বাড়ি ফিরে থানা–পুলিশের হস্তক্ষেপে ১৯ জুলাই সোমবার তিনি ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেন বলে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক জানিয়েছেন। দীপক টাঙ্গাইল শহরের একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন।
পুলিশ জানায়, ছয়-সাত মাস আগে দীপকের সঙ্গে কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার রাতে মেয়েটির বাবা ও এলাকাবাসী দীপকের বাড়িতে মেয়েটিকে খুঁজে পেলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। গত শুক্রবার দুই পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ খবরে দীপক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর গত রোববার মেয়েটি দীপকের নামে সখীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরে থানা-পুলিশের হস্তক্ষেপে দীপক বাড়ি ফিরে গতকাল রাতে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শুকলাল চন্দ্র সরকার বলেন, গতকাল দীপক বাড়ি ফিরে আসায় ও বিয়েতে সম্মত থাকায় রাতেই তাঁদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভুইঁয়া প্রথম আলোকে বলেন, উভয়ের সম্মতিতেই তাঁরা পাঁচ মাস ধরে মেলামেশা করছেন। ধর্ষণের মামলা হলে উভয়েরই ক্ষতি হতো। দীপককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি সম্মত হন। পরে গতকাল রাতে বিয়ে হয়।