সাভারের আশুলিয়ায় ইমামের বিরুদ্ধে ৯ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ভিক্টিমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

২৭ জানুয়ারি রোববার সকালে আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রী দোসাইদ এলাকায় বাবা মার সাথে ভাড়া থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতেন। এছাড়া পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল আল মামুনের কাছে মক্তব পড়তেন ওই ছাত্রী। সকালে মক্তব পড়া শেষে ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মসজিদের ইমাম নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় সেই ইমাম। পরে ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। খবর পেয়ে রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্যাতিতা শিশুকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। মেয়েটি বাবা হাসান শেখ বাদী হয়ে আশুলিয়ার থানার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

নির্যাতিতা মেয়ের মা লিপি আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম দিকে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্য ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ধর্ষণকারীকে আটক ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন এলাকার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সমকাল । সারা বাংলা

মন্তব্য করুন