সাভার পৌরসভার নামা গেন্ডা এলাকার এক রিকশাচালক জানান, তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর বাসার সামনের দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে সাভার থানায় অভিযোগ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর প্রতিবেশী মজিবরের বখাটে ছেলে বিল্লাল হোসেন নিখোঁজ রয়েছে বলে সবার নজরে আসে। এর পর স্থানীয়রা ওই পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। ১১ জানয়ারি রাত ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় মেয়েকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় বখাটেরা।
ওই কিশোরী জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর কথা আছে বলে তাকে দোকানের সামনে থেকে ডেকে নেয় বিল্লাল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে অপেক্ষমাণ একটি মাইক্রোবাসে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। সেখানে একটি বাড়িতে আটকে রেখে বিল্লালসহ দুজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
কিশোরীর মা জানান, এ ঘটনার পর থানায় গেলেও তাদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। এই সুযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা বিষয়টি আপস-মীমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কিশোরীর স্কুলের এক শিক্ষক জানান, পুলিশ বিল্লালের বাবা মজিবরকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এখন উল্টো মামলা না করার বিষয়ে প্রভাবশালীরা হস্তক্ষেপ করছে। ওই কিশোরী (১২) বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সাভার মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক দুলাল রায় জানান, তিনি ঘটনা সরেজমিন তদন্ত করেছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।