সিরাজগঞ্জে ধর্ষণে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তার স্কুলের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩০ মে শনিবার এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
মামলার এজাহার উদ্ধৃত করে এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস আগে স্কুল ছুটির পর ক্লাস রুমের ভেতরেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে শিক্ষক নুরুজ্জামান। ওই ছাত্রী কান্নাকাটি শুরু করলে চার সন্তানের জনক নুরুজ্জামান তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
পাশাপাশি ওই ঘটনা কাউকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করার হুমকি দেন তিনি। ভয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। সম্প্রতি ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নেন। পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিমা আক্তার জানান, ২৭ মে মেয়েটিকে পরীক্ষা করার পর পাঁচ মাস চার দিনের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রিপোর্ট এসেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুখসানা ইসলাম জয়া জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতে নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রীর পাশে থেকে সব রকম আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
চৌহালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, “একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উদ্বেগ ও দুঃখজনক। তদন্তে দোষী প্রমান হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।