সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বাবার সঙ্গে মাজারে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

 

এ ঘটনায় ২৫ আগস্ট বুধবার রুবেল বিশ্বাস (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

ওই যুবক উপজেলার বেতমুড়া গ্রামের মুক্তেশ্বর বিশ্বাসের ছেলে।

অভিযোগে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের সিঁড়ির নিচে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে একা পেয়ে রুবেল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে ধর্ষক রুবেল পালিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়রা ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই মানসিক প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রায়হান ও রুমান জানান, চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে উলঙ্গ করে ধর্ষণ করতে দেখি। আমাদের দেখে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে আমাদের ডাকাডাকি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।

প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটির মা বলেন, গেল শুক্রবার সে তার বাবার সঙ্গে শাহজালাল মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। লোকমুখে জানতে পারি সে ভূমি অফিসের কর্মচারী সুকুমার বিশ্বাসের কাছে আছে। তাকে নিতে এসে রায়হান ও রুমানের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে আমাকে ইশারায় দিয়ে জানায় ধর্ষক তাকে লাথি মেরে গলায় চাপা দিয়ে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কেএম নজরুল জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সকালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে এবং ওই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন