ফেসবুকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জে এমাদ আহমেদ (২৮) নামের যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। ৪ এপ্রিল রবিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে।
আটক এমাদ আহমেদ তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জজ মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ তরফদার জানান, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এমাদ আহমেদকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাওয়ের ঘটনার পর শনিবার রাতে তাঁকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন এমাদ আহমেদ। সকালে বিষয়টি নিয়ে হেফাজতসহ স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাহিরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এম সালমান আহমদ জানান, কথিত এক নারীর ছবির সঙ্গে হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের ছবি যুক্ত করে অশ্লীল ও আপত্তিকর মন্তব্যজুড়ে এমাদ আহমেদ তাঁর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে স্থানীয় আলেম সমাজ ও হেফাজতের অনুসারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বিষয়টি থানার পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে।
এ ব্যাপারে বাদাঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম হায়দার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। সংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের নেতারা খোঁজ নিচ্ছেন কী কারণে পুলিশ তাঁকে আটক করেছে।’
ওসি মো. আবদুল লতিফ তরফদার বলেন, ফেসবুকে এমাদ আহমেদের পোস্টকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, এ জন্য রোববার দুপুরে থানায় স্থানীয় আলেমা সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি মতবিনিময় করেছেন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ বিষয়ে সবাই সহযোগিতা করবেন বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।