চাঁদা না দিলে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পরিবারের সদস্যদের গুম করা হবে বলে হুমকি এসেছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের পরিচয় দিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকে তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির এই সদস্য সচিবের দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

ফোন নম্বর: +৯১৮০১৭৮২২৭২৫ থেকে আজ সকাল ১০টায় একটা ফোন এলো। নিজের পরিচয় দিলেন সুব্রত বাইন, কলকাতায় থাকেন, তিনি নাকি শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। কলকাতায় তার ‘ছোট ভাইদের’ ‘চিকিৎসা’র জন্য টাকা দাবি করলেন। না দিলে পরিবারের সদস্য গুমসহ কীভাবে টাকা আদায় করবেন তা দেখতে বললেন।

সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য বিষয়টি জানিয়ে রাখলাম।

প্রসঙ্গত, সুব্রত বাইন বাংলাদেশের একজন কুখ্যাত অপরাধচক্র নেতা। তাকে সাধারণত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় কমপক্ষে ৩০টি খুনের মামলা রয়েছে। ২০০৩ পর্যন্ত সুব্রত বাইন ছিল ঢাকার অপরাধ জগতের প্রভাবশালী চক্র সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে হত্যার মধ্য দিয়ে নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবে সুব্রত বাইনের অভিষেক হয়। সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

সুব্রত বাইন কলকাতা পুলিশের হাতে প্রথম গ্রেপ্তার হয় ২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর। পরে আদালতে জামিনে মুক্তি পায় সে। পরে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ভারতের কলকাতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়ে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে কলকাতার বহুবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ভারতে সুব্রত বাইনের বিরূদ্ধে অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

আমাদের সময়

মন্তব্য করুন