হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে রাস্তা হারিয়ে যাওয়া এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে টাকা ও খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন সাদ্দাম হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক। এর আগে স্ত্রীকে ছবি তোলার কথা বলে বাজারে পাঠিয়ে দেন সাদ্দাম।

 

পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধর্ষক সাদ্দামকে গ্রেফতার করে ১২ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কিশোরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ১৫/১৬ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী শ্রীমঙ্গলের শমশেরগঞ্জ থেকে রাস্তা হারিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ চলে আসে। সেখানে এক নারীর বাড়িতে রাতযাপন করে বৃহস্পতিবার দুপরে চুনারুঘাট উপজেলার জারুলিয়া বাজারে চলে আসে। সেখান থেকে সে পুনরায় শায়েস্তাগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোতে উঠে।

এ সময় সিএনজিতে থাকা উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ছনখলা গ্রামের অনু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের (৩৫) কাছে কিশোরী খাবার এবং ভাড়ার টাকা চায়। এ সুযোগে সাদ্দাম কিশোরীকে টাকা ও খাবারের প্রলোভন দিয়ে বাসুল্লা এলাকায় নিয়ে যায়।

এদিকে সাদ্দাম তার স্ত্রী দিলারাকে ছবি তোলার কথা বলে বাড়ি থেকে আসামপাড়া বাজারে পাঠিয়ে দেয়। পরে কিশোরীকে নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

এদিকে সাদ্দামের স্ত্রী দিলারা বাজার থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। সে তার স্বামীকে ডাকাডাকি করে ঘরের দরজা খুলে এ ঘটনা জানতে পারে। স্বামীর সঙ্গে তর্কাতর্কি করে দিলারা কিশোরীকে ঘর থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

পরে কিশোরী গিয়ে আশ্রয় নেয় গ্রামের নুর মোহাম্মদ নামে একজনের বাড়িতে। সেখান থেকে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।

পরে এসআই সালেহ উদ্দিন মেয়েটিকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে। পরে তার বক্তব্য শুনে বিকালে সাদ্দামকে কৌশলে আটক করেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। ধর্ষক সাদ্দামকে গ্রেফতার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন