হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আমার হবিগঞ্জ অফিসে হামলা হয়েছে। এ সময় পত্রিকাটির সম্পাদক-প্রকাশকের শ্বশুরবাড়িসহ ৭-৮টি ফ্ল্যাটেও তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীদের ঠেকাতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেলে সদর থানার ওসি (তদন্ত)-সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

পত্রিকাটির সম্পাদক-প্রকাশক সুশান্ত দাস গুপ্ত যুগান্তরকে জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহির ও নবনির্বাচিত মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের নানা অপকর্মের খবর প্রকাশের জেরেই সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই এই হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।

যদিও আতাউর রহমান সেলিম যুগান্তরকে জানান, তিনি হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, এ হামলায় জড়িত ছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এই পত্রিকায় অসত্য খবর প্রকাশ করার ক্ষোভ থেকেই হয়তো তারা এই হামলা চালিয়েছে।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ যুগান্তরকে জানান, দৈনিক আমার হবিগঞ্জে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই খবর ছাপা হচ্ছে, এর ক্ষোভ থেকেই এ হামলা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশের সামনেই এমন হামলা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ সামনের দিকে ছিল। হামলাকারীরা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অপর একটি ভবনের ছাদ দিয়ে সেই ভবনে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে পুলিশ আহত হওয়ায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন