মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামে এক নারীকে তিন দিন বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী (২৫) অভিযোগ করেছেন, প্রেমিক রাশেদ বিয়ের কথা বলে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। রাশেদ ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার পাল পেপার মিলের নিরাপত্তাকর্মী।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কথিত প্রেমিক রাশেদ তাকে বিয়ে না করায় সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, হরিরামপুর উপজেলার হাসেম ব্যাপারীর ছেলে রাশেদের সঙ্গে তার দুই বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বুধবার বিকালে বিয়ের কথা বলে তাকে বাবার বাড়ি থেকে রাশেদ তার ভাড়া বাসা ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুরে নিয়ে যায়। তাকে ওই বাসায় তিন দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাশেদ। পরে তাকে বিয়ে করবে না বলে জানালে শুক্রবার সকালে সে ঘুমের ওষুধ খায়। পরে তাকে রাশেদ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওষুধ আনার কথা বলে রাশেদ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, ‘প্রতারক ও ধর্ষক রাশেদ আমার মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য কাজ করেছে আমি তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’ এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানান। শ্লীলতাহানির শিকার ওই নারী স্বামী পরিত্যক্তা বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ‘মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত কথা সে বলতে পারছে না।’ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ভুক্তভোগীর অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হানিফ সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাস্থল ধামরাই থানা এলাকায়, সে কারণে ওই থানায় অভিযোগ করতে হবে।’
সূত্র: banglanews24