বরগুনার পাথরঘাটায় এক স্কুল ছাত্রীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষেণের’ ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,উপজেলার হরিণঘাটা বনে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় তারা মামলা করতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ওসি মামলা নেয়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছের এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৩ বছর বয়সী মেয়েটিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার বর্ণনায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সে জানায়, ছোটবেলায় তার বাবা মারা যাওয়ায় পর মা আবার বিয়ে করেন। তাই বড় ভাইয়ের কাছে থেকে পড়াশুনা করে সে।
এক মাস আগে পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের শাহজাহান প্যাদার ছেলে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী জলিল প্যাদার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়।
পরে জলিল তার ‘পরিচয় গোপন করে’ বেলাল পরিচয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার পর পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে জলিলের আসল পরিচয় জানতে পারে।
মেয়েটির দাবি, ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে জলিল তাকে বানর দেখানোর কথা বলে কৌঁশলে হরিণঘাটা বনে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় হরিনঘাটা এলাকার ট্রলার চালক আলতাফ হোসেন ঘটনাটি দেখে ফেলে। একপর্যায়ে আলতাফও তাকে ধর্ষণ করে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে তাকে নিয়ে যায় বলে মেয়েটি জানায়।
এদিকে মেয়ের মা ও বড় ভাইয়ের অভিযোগ,এ ঘটনায় বিকালেই তারা পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানার ওসি হানিফ সিকদার মামলা নিতে রাজি হননি।
অভিযোগের বষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে ওসি বলেন,“মামলা করার জন্য কেউ থানায় আসেনি। মেয়েটি, তার মা অথবা ভাই কেউ বাদী হলেই মামলা হবে।”
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযা চালাচ্ছে পুলিশ।