লক্ষ্মীপুরে হত্যার ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন হয়রানির (বলাৎকার করার) অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার রামগঞ্জ পৌরসভার বাসষ্টান্ডে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। হত্যার ভয় দেখিয়ে গত কয়েক মাস থেকে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কয়েকজন ছাত্রের সাথে এই অনৈতিক কাজ করে চালিয়ে আসছিলো বলে স্থানীয়রা জানায়।
৯ জানুয়ারি বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কাশেম তাকে রক্ষায় ব্যাতিব্যাস্ত ছাড়াও রাতের আঁধারে অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিত শিশুর মা রামগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলেও বিভিন্ন মহলের চাপের কারনে মামলা না করেই বাড়ী চলে যেতে বাধ্য হয় বলে জানান অনেকেই।
জানা যায়, রামগঞ্জ পৌরসভার উত্তর কলচমার গ্রামের ফায়সাল (১১) নামের এক শিক্ষার্থীকে রামগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ট সংলগ্ন হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম গত কয়েক মাস থেকে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানি(বলৎকার) করে আসছিলেন। ফায়সাল রমজানের ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে আসার পর মাদ্রাসায় ফেরত যেতে না চাইলে তাকে পরিবারের লোকজন বার বার জিজ্ঞাসা করলে সে হুজুর নামের এই ভন্ডের অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা বলে দেয়। পরে মাদ্রাসার আরো দুই ছাত্র জুয়েল (৯), শাহাজাদা (৮) জানান, প্রতি রাতে হুজুর জাহাঙ্গীর আলম তাদেরকে ও তার রুমে ডেকে নিয়ে যায়। এবং খারাপ কাজ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে হুমকী-ধমকী দেয়। এ ছাড়াও এ ঘটনায় যদি তাদের কোন বাচ্চার জন্ম হয়, তাহলে লম্পট হুজুর তাদের বিয়ে করবে বলে সান্তনা দিতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের অভিভাবকগণ সত্যতা জানতে মাদ্রাসায় গেলে অধ্যক্ষ বিষয়টি কাউকে না জানাতে এবং বিষয়টি চাপা দিতে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন আমরা এখানে ভেসে আসিনি, আমাদের ও লোকজন আছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কাশেম জানান, অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে উক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিয়েছি। তার বাড়ী পঞ্চগড়ে। আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, অভিভাবকগণ আমার কাছে এসে ঘটনাটি বলেছেন। আমি তাদেরকে বলেছি লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য।তবে মামলা না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান তিনি।