১১ দলের নেতৃত্ববৃন্দ বলেছেন, দেশে নির্বাচন-পরবর্তী সংঘাত ও সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা নিয়ন্ত্রণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর কোন ভূমিকাই পালন করতে পারছেনা কিংবা করছে না। একইভাবে নির্বাচনে বিজয়ীদল বা জোটেরও এ ব্যাপারে বিশেষ কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু সারাদেশে এই সংঘাত ও হাঙ্গামা মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর মুক্তাঙ্গনে আয়োজিত এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় তারা এসব কথা বলেন। সারা দেশে নির্বাচন-পরবর্তী সংঘাত, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তৃতা করেন ১১ দলের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের অন্যতম নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও বাসদের আহ্বায়ক আ ফ ম মাহবুবুল হক। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিন করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান। সমাবেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, এখনো পর্যন্ত সরকার গঠন না করলেও বিজয়ী দল হিসেবে বিএনপিকে এ দায়িত্ব নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও দায়িত্ব নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে জনজীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। মেনন বলেন, বিজয়ী বিএনপি ও তার শরিক জামায়াত বলেছে, তাদের লোকেরা এসব হত্যা-হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। কিন্তু তাদের অস্বীকৃক্তি সত্ত্বেও সংবাদপত্রে যে খবর বেরুচ্ছে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে এসব ঘটনার দায়-দায়িত্ব তারা এড়াতে পারেন না। এরকম অতীতের সরকারও বলেছিল সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। কিন্তু তারা যে দলভুক্তই ছিল তার প্রমান প্রতিটি ঘটনাতেই পাওয়া গিয়েছিল। সমাবেশ ও মিছিলে ১১ দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আজিজুল ইসলাম খান, নির্মল সেন, আব্দুল্লাহ সরকার, দিলীপ বড়ুয়া, অজয় রায়, হাজী আবদুস সামাদ, মোর্শেদ আলী, সাইফুল হক, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল জব্বার, আবু হামেদ সাহাবুদ্দীন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রেজাউর রশীদ প্রমুখ নেতা অংশগ্রহণ করেন।
সংবাদ, ৮ অক্টোবর ২০০১