সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ১ জন বালিকাসহ ৫ জন মহিলা সন্ত্রাসীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ১৬ নবেম্বর বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে নির্যাতিতরা জানিয়েছেন। নির্যাতিতরা প্রতিবেদকের কাছে জানান যে, তারা এ ঘটনা ভয়ে প্রকাশ করেননি। কারণ সন্ত্রাসীরা তাদের হুমকি দিয়ে গেছে, যদি এই ঘটনা ফাঁস হয় অথবা পুলিশকে জানানো হয় তবে তাদের হত্যা করা হবে। তারা জানান, মধ্যরাতে সন্ত্রাসীরা ৫টি ঘরে প্রবেশ করে এবং ১১ বছরের একজন বালিকাসহ ৫ জন মহিলাকে গণধর্ষণ করে স্বর্ণের অলংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। কিন্তু নির্যাতিতরা কেউই সন্ত্রাসীদের চিনতে পারেনি। সন্ত্রাসীদের এই গণধর্ষণের হাত থেকে গর্ভবতী মহিলাও রক্ষা পায়নি। নির্যাতিতার স্বামী বলেন, আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে ধর্ষণ না করার জন ̈ ওদের আমি ৬ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলাম। তারা জানান, সন্ত্রাসীরা তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। কচুয়া থানা পুলিশ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, কোন নির্যাতিতা এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করেনি, তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অবশ্যই এ ব্যাপারে আমি তদন্ত করব।
ডেইলি স্টার, ১ ডিসেম্বর ২০০১