বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ছাত্রলীগ নেতা সজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন তার প্রেমিকা। সজল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি। ২৬ জুন বুধবার দুপুরে সজলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সজল ২৪ জুন সোমবার প্রেমিকাসহ বুড়িরবাঁধ কল্পনা পিকনিক স্পটে বেড়াতে যান। মেয়েটির ভাই ও আত্মীয়রা জানতে পেরে সজলকে পার্ক থেকে ধরে এনে বাড়িতে আটকে রাখেন। এ সময় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন বিয়ের জন্য সজলকে চাপ দেয়। ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু, ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন এবং ১২নং সালন্দর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেনের মধ্যস্থতায় বিয়ের জন্য কাজি আনা হয়। কিন্তু সজল বিয়ে করতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক-প্রেমিকাকে রুহিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়। সেখানেও উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলে। অবশেষে সজলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেয় প্রেমিকার পরিবার। পুলিশ মামলা করে বুধবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠায়। অপরদিকে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘মেয়েটি এজাহারে বিভিন্ন সময়ে তার প্রেমিককর্তক ধর্ষিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। আর সজল প্রেমিকাকে বিয়ে করতে টালবাহানা করছে। মেয়েটির অভিযোগেরভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে এবং প্রেমিক সজলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।