নাটোরের বড়াইগ্রামে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী ভাতিজিকে তার আপন পঞ্চাশোর্ধ বয়সী ফুপা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর স্বপরিবারে গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ফুপা।
এদিকে ধর্ষিতার পরিবার গরীব হওয়ায় মামলার প্রক্রিয়ায় যেতে অপারগতা স্বীকার করায় গ্রাম্য প্রধানেরা ঘটনাটি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, রমজান মাসের চতুর্থ দিনে তারাবী নামাজের পর সে বাড়ির পাশে ফুফুর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিভি দেখে ঘরে ফেরার সময় তার ফুফা পেছন পেছন আসে। সে ঘরের ভেতর ঢোকার সময়
ফুপাও আচমকা ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে মুখ চেপে, গলায় টিপ দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না এবং মা পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। ধর্ষণের সময় ধস্তাধস্তি ও কান্নার শব্দ পেয়ে মা হাতে-নাতে ফুফাকে আটক করে। তবে এ সময় গোলবার এ ঘটনা কাউকে জানালে মা-মেয়ে ও বাবাকে গুলি করে হত্যা করবে বলে হুমকী দেয়। পরের দিন গোলবারের স্ত্রী ফুফু রেহেনা বেগমকে তার মা ঘটনাটি বললে তিনিও এসব বিষয় কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে তার বড় চাচা ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা রাখতে বাবাকে নির্দেশ দেয় এবং ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু এক মাসের অধিক সময় পার হওয়ার পরেও কোনো বিচার না পেয়ে তার বাবা স্থানীয় গ্রাম প্রধানের কাছে বিচার দাবি করে। গ্রাম প্রধানেরা এ ব্যাপারে থানায় যেতে বললে টাকার অভাবে মেয়েটির বাবা থানায় যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর মেয়েটি আর স্কুলে যাচ্ছে না এমনকি বাড়িতেও থাকছে না। মেয়েটি পার্শ্ববর্তী এক সমাজ সেবিকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে অপরাগতা স্বীকার করায় ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সুরাহা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।