শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের দুলুখণ্ড গ্রামে অবস্থিত ২২ নং দুলুখণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় ও শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গত ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মিলাদ অনুষ্ঠানের মিষ্টি বিতরণ শেষে সকলে চলে গেলেও, আরো মিষ্টি দিবে এমন প্রলোভনে বিদ্যালয়ে রেখে দেয় দ্বিতীয় শ্রেণির প্রতিবন্ধী ছাত্রীটিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে মেয়েটিকে তার রুমে মিষ্টি দেওয়ার নাম করে যৌন হয়রানি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল আবেদীন। মেয়েটির ছোট বোন একই ক্লাসের ছাত্রী, তার বড় বোনকে খুঁজতে খুঁজতে শিক্ষকের রুমের কাছে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে পায় এবং চিৎকার করলে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। পরে দুই বোন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে বাবা-মা’র কাছে ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে বিচারের নামে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জিয়াউল আবেদীন বলেন, ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরীর নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে অনেকে আবেদন করেন। পরে একজন মেধাবী ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগের বিষয় নিয়ে ওই এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আমি ওই ছাত্রীর সাথে কিছু করিনি। মিথ্যা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ মো. ইকবাল মনসুর বলেন, এটা একটি নিন্দনীয় কাজ। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি দরখাস্ত পেয়েছি। পরে ছাত্রী ও তার পরিবারের জবানবন্দী নিয়েছি। তদন্তের জন্য নড়িয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। প্রাথমিক তদন্তের জন্য দু’জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।